স্মরণসভায় বিশিষ্টজনেরা

ডা. জাফরুল্লাহকে নিয়ে স্ত্রী শিরিন হকের আবেগঘন স্মৃতিচারণ

‘দেশের যোদ্ধা বন্ধু সবার’ প্রতিপাদ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার নিজ বাসভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আজিমের সঞ্চালনায় সভায় অংশ নিয়ে তার স্মৃতিচারণ করেন- তার স্ত্রী শিরিন হক, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. কাশেম চৌধুরী, ছোট বোন সেলিনা চৌধুরী মিলি, উবিনিকের নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, অর্থনীতিবিদ বিনায়ক সেন, গণস্বাস্থ্যের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইদুজ্জামান অপু।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা জানা-অজানা স্মৃতি তুলে ধরেন। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে আবেগ প্রবণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা

বিকাল সাড়ে ৪টায় সূচনা গানের মধ্যে দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। মোনাজাত শেষে সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ করে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিরিন হক।

তিনি বলেন, তার সঙ্গে থাকা সহজ ছিল না। আমরা তর্ক করতাম। আবার একসঙ্গে নাটক দেখতে যেতাম। জাফরুল্লাহ চৌধুরী নাটক দেখতে খুব ভালোবাসতেন। নাচ-গান খুব একটা ভালোবাসতেন না। একবার তাকে নিয়ে নাচ দেখতে গিয়েছিলাম, উনি আমাকে সন্তুষ্ট করতে গিয়েছিলেন। আমার পাশের আসনে বসে ঘুমিয়ে নাক ডাকছিলেন। তিনি কাজ পাগল ছিলেন। তাই এত আনন্দ আমরা করতে পারিনি। সন্তানদের সময় দিতে পারতেন না। কিন্তু খুব ভালোবাসতেন।

জাফর২

ডা. জাফরুল্লাহর স্ত্রী আরও বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অন্তিম সময়ে গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকরা বড় কোনও হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন। বলেছিলাম, চোখ খুলে যদি তিনি দেখেন, তাকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাহলে জানতে চাইবেন, কে নিলো এই সিদ্ধান্ত।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ড. কামাল হোসেন, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর, অধ্যাপক মাহবুবুল্লাহ, অধ্যাপক অহিদউদ্দিন মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, ট্রাস্টি সন্ধ্যা রায়, চ্যানেল আই-এর শাইখ সিরাজ, নিউ এইজ পত্রিকার প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বাদল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, নারী নেত্রী খুশি কবির, ডা. চৌধুরীর ছোট ভাই ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নাজিম উল্লাহ, কর্নেল (অব.) নাসির চৌধুরী, স্ত্রী শিরিন হক, মেয়ে বৃষ্টি চৌধুরী, ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী, কবি ফরহাদ মাজহার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গণ-অধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ।