সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নয়

ইলকেশন মনিটরিং ফোরামের সংবাদ সম্মেলনঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আবেদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘একথা অস্বীকার করা যাবে না যে শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন সম্পন্ন করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুরূহ কাজ। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনও শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নয়।’

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আবেদ আলী বলেন, ‘আমরা ৫০৭ জন প্রশিক্ষিত পর্যবেক্ষক দিয়ে ৭২৯ কেন্দ্র ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করেছি। নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষকদের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে একথা বলা যায় যে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সার্বিক ভোটগ্রহণের হার প্রায় ২৮ শতাংশ।’

ভোট কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আস্থা অর্জন করতে না পারায় ভোট দিতে আসেনি জনগণ। ভোটের হার কম হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার অভাব ও উদাসীনতা আমরা লক্ষ্য করেছি। কারণ, দেশের দু’টি বৃহত্তম দলের উল্লেখযোগ্য ভোটব্যাংক রয়েছে। তারা সচেষ্ট হলে ভোটারদের উপস্থিতির হার আরও বাড়াতে পার্থ।’ 

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। প্রচারে সব দলকে সমান সুযোগ করে দিয়েছে। সব প্রার্থীর অভিযোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ছিল।