বন্যপ্রাণী ধরা ও শিকার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘করোনার মতো মরণঘাতী ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণী ধরা ও শিকার বন্ধ করতে হবে।’ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ২২তম জাতীয় সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বিচারে বন ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে চলাফেরা ও বসবাসের দূরত্ব কমে যাওয়ার কারণে রেবিস, ইবোলা, নিপা ভাইরাস, সোয়ান ফ্লু, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনার মতো অনেক জুনোটিক ব্যাধি মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছে।’

বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাণিবিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় নিবেদিতভাবে কাজ করছে। বনবিভাগের সহায়তায় আইইডিসিআর কাঁচা খেজুরের রসের মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে আসছে। ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির ফলে এই রোগের বিস্তার হ্রাস পেয়েছে।

মো. শাহাব উদ্দিনের দাবি- ‘বন্যপ্রাণী শিকার, পাচার ও বাজারজাতকরণ রোধে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতায় বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আমরা সফল হলে এ ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারীসহ অন্যরা।