দেশের বেশিরভাগ এলাকায় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এতে যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে— ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ৩৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৪, সিলেটে ৩৫ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৩, রংপুরে ৩২ দশমিক ৬, খুলনায় ৩৬ এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকা হতে প্রশমিত হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বদলগাছি ও সিলেটে ৩৮ মিলিমিটার। এছাড়া তেঁতুলিয়ায় ৩৩, ডিমলায় ৩১, রাজারহাটে ২৪, সৈয়দপুরে ১৭, বগুড়ায় ১১, নেত্রকোনায় ১০, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় ৫, রংপুর ৪, দিনাজপুর ২, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। পটুয়াখালী, যশোর ও শ্রীমঙ্গলে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও যশোর বিভাগের বেশিরভাগ এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলীসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।