‘জিরো-ওয়েস্ট কমিউনিটির মাধ্যমে সম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের  উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, জিরো-ওয়েস্ট কমিউনিটি গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজেদের বর্জ্য হ্রাস এবং বৃহত্তর পর্যায়ে সম্পদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) ও ঢাকার আঁলিয়াস ফ্রঁসেসের সহযোগিতায় ‘জার্নি টুওয়ার্ডস জিরো-ওয়েস্ট কমিউনিটি’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি স্ত্রিনিং এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাবিবুন নাহার বলেন, ‘বর্তমানে সম্পদ ব্যবহারের অভ্যাস মানুষ, বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে এবং এ সব কিছু থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, আমাদের বর্তমান সম্পদ ব্যবহারের অভ্যাস এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা টেকসই নয়। অতএব, এখনই সময় জিরো-ওয়েস্ট জীবন ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়া।'

এসডোর সভাপতি সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন,  ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কমিউনিটির অংশগ্রহণ থেকে বোঝা যায় যে, সিটি করপোরেশনগুলো একা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সব উপকারভোগীকে একত্রে মিলে কাজ করতে হবে।’

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল ২০২১’-এ বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং  পুনব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছ। আমরা আশা করছি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গঠন করতে সক্ষম হবো।’

বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার (ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স) মন্নুজান খানম বলেন, ‘২০৫০ সালের মধ্যে, নেদারল্যান্ডস একটি সার্কুলার অর্থনীতি, একটি বর্জ্যমুক্ত অর্থনীতি গড়ে তোলার আশা করছে, যা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই নবায়নযোগ্য এবং টেকসই কাঁচামাল এবং পুনর্ব্যবহারের ওপর নির্ভর করবে।’