‘সিসার বিষক্রিয়া প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে’

বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন বলেছেন, শিল্পের মাধ্যমে অনেক জটিল বিষয় ফুটিয়ে তোলা যায়। তরুণ শিল্পীরা তাদের প্রতিভাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছেন।তিনি বলেন, ‘সিসার বিষক্রিয়া প্রতিরোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

সিসার দূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে শিশু শিল্পীদের এক অভিনব চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির সহযোগিতায় এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন এসব কথা বলেন।

তিনি আন্তর্জাতিক সিসার বিষাক্ততা প্রতিরোধ সপ্তাহে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের এ বিষয়ে  পরিবেশ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে এসডোর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

শিশুরা কীভাবে একটি দূষণমুক্ত বিশ্বে বসবাস করতে পারে এবং সিসামুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তে পারে— এই বিষয়ে তারা তাদের শৈল্পিক দক্ষতা এবং অভিব্যক্তি তুলে ধরে। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশুরা সিসার বিষাক্ততা প্রতিরোধে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে। প্রতিযোগিতাটি ২১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক সিসার বিষাক্ততা প্রতিরোধ সপ্তাহ উদযাপন উপক্ষে আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসডোর চেয়ারপারসন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। তিনি সিসার বিষাক্ততা প্রতিরোধে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। 

এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘সিসার বিষাক্ততা আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সিসার বিষাক্ততা বন্ধ করতে হবে, যাতে প্রতিটি শিশু সুন্দর এবং সুস্থ জীবন উপভোগ করতে পারে।’