জলবায়ুর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কপ-২৮ সম্মেলন স্থলসহ পৃথিবীব্যাপী ৩৬টি দেশ ও বাংলাদেশের ৩০টি স্থানে একযোগে পালিত অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন মানববন্ধন ও আলোচনা সভা করেছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইকুইটিবিডি, ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থা, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), গ্লোবাল ল’ থিংকার্স সোসাইটি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন এবং বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ.এস.এম. বদরুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এম এস সিদ্দিকী, গ্লোবাল ল’ থিংকারস সোসাইটির প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের ৩০টি জায়গায় একযোগে আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন ও ঢাকায় আজকের কর্মসূচির সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘উত্তরের ধনী রাষ্ট্রগুলোর অনিয়ন্ত্রিত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে পৃথিবীর জলবায়ু ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও সব জীবের সুরক্ষায় আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করতে হবে।’
বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ.এস.এম. বদরুল আলম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কপ-২৮ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও তা ফলপ্রসূ কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের কথা বিবেচনায় না নিয়ে শুধুমাত্র ধনী দেশগুলোর হস্তক্ষেপে এই সম্মেলন যেন এবারও ব্যর্থ না হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এম এস সিদ্দিকী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সে বিষয়টা তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ বিষয়টি বিস্তৃত পরিসরে আলোচনায় আনতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ঢাকা ছাড়াও জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সিলেট, পিরোজপুর, গাজীপুর, পঞ্চগড়, জৈন্তাপুর, বিশ্বনাথ, বগুড়া, মোংলা পাইকগাছা, সাতক্ষীরা, খুলনা, কয়রা, বরগুনা, কুয়াকাটা, তালতলী, মহেশখালী, পাথরঘাটা, বগুড়া, কুয়াকাটা, পেকুয়া, চাটমোহর, বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর এবং রাজশাহীতে এই কর্মসূচি একযোগে পালিত হয়েছে বলে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়।