সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার ইনামুল হকের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

এ আর এম ইনামুল হকবাংলাদেশের প্রথম মরণোত্তর চক্ষুদাতা ও প্রবীণ সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার এ আর এম ইনামুল হকের ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১১ নভেম্বর।

১৯২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় ইনামুল হক জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালের ১১ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।

ইনামুল হক ব্রিটিশ আমলে কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। দেশভাগের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (এখনকার বুয়েট) যোগ দেন।

সরকারি ও বেসরকারি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পর তিনি ‘ঢাকা কনসালটেন্টস লিমিটেড’ গড়ে তুলেন। কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন এবং আজীবন কাজ করেছেন মানুষের শিক্ষার জন্য।  ষাটের দশকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘দ্য সোসাইটি ফর দ্য ইরেডিকেশন অব ইললিটারেসি’।

নিরক্ষরতা নির্মূলের পাশাপাশি তিনি ক্রীড়াঙ্গণেও ভূমিকা রাখেন। গড়ে তুলেছিলেন ‘ধানমন্ডি বয়েজ ক্লাব’ (যা এখন শেখ রাসেল ক্লাব)। তিনি ছিলেন ‘ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘গেরিয়াট্রিক সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। লায়ন্স ক্লাবেরও সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি।

জীবদ্দশায় এনামুল হক তিনটি খাতে মানবতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে কাজ করেছেন। এগুলো হলো- শিক্ষা, খাদ্য ও আবাসন। তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নচারী মানুষ, বিশ্বাস করতেন সামাজিক ও লিঙ্গ সমতায়।

এনামুল হকের পাঁচ সন্তান। তারা হলেন, আমিনা আহমেদ, তাহিরা হক, আমিরা হক, রেজা হক ও ইহসান হক।