দীর্ঘদিনের সহকর্মী আহমেদ গোলাম আরিফের মৃত্যুতে বাংলা ট্রিবিউন পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ, সম্পাদক জুলফিকার রাসেল শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘জেমকন গ্রুপে আহমেদ গোলাম আরিফ অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। বিশেষ করে গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শাহেদ আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে তার কাজ ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন।’
তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘বাংলা ট্রিবিউনের একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন আহমেদ গোলাম আরিফ। একইসঙ্গে তিনি চমৎকার মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ। তিনি ছিলেন বাংলা ট্রিবিউনের সবার অভিভাবক। সব সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তার। আমি সব সময় তার কাছ থেকে দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। যে কোনও কাজ অতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করা ছিল তার বিশেষ গুণ। আহমেদ গোলাম আরিফের শূন্যতা অপূরণীয়।’
এদিকে, আহমেদ গোলাম আরিফের মৃত্যুর সংবাদে হাসপাতালে ছুটে যান তার পরিবার, স্বজন ও বাংলা ট্রিবিউনের সহকর্মীরা।
আহমেদ গোলাম আরিফের জন্ম ৩ জানুয়ারি ১৯৬৩ সালে। গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে হলেও তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। আহমেদ গোলাম আরিফ ও উর্মি আহমেদ দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর ধানমন্ডির মসজিদ-উত-তাকওয়ায় (তাকওয়া মসজিদ, ১২/এ ধানমন্ডি) আহমেদ গোলাম আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কর্মস্থল বাংলা ট্রিবিউনে আনা হয় তার মরদেহ। সহকর্মীরা তাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহ সেন্ট্রাল রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাংলাবাজারের পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে তাকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।