‍‍ভাষাসৈনিক খালেদা মনযূর-এ-খুদা মারা গেছেন

চলতি বছর (২০২৩) একুশে পদক পাওয়া ভাষাসৈনিক ও লেখক খালেদা মনযূর-এ-খুদা (৮৯) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে আনুমানিক দুপুর আড়াইটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

এই ভাষা সৈনিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। রবিবার (২৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়াও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে খালেদা মনযূর-এ-খুদা সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০২৩ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। 

খালেদা মনযূর-এ-খুদা ১৯৩২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাজীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষাসৈনিক ও লেখক পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন গায়িকা, শিক্ষক, সমাজসেবী ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা। তার লেখা কয়েকটি গ্রন্থ হলো—‘চীনকে চিনে এলাম’, ‘আপন ভুবনে’, ‘আশ্রয় চাই’, ‘আশা না পুরিলো’, ‘কানা গলির শেষ বাড়িটা’।