আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই না: বন্যা করিম

বিদায়ী বছরের ৭ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম এবং ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, সংগীতশিল্পী ও কম্পোজার সৌভিক করিম। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) শাহবাগে আয়োজিত সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে সৌভিক করিমের মা বন্যা করিম বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই না। এই রাষ্ট্র সর্বতোভাবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

ঢাকা মহানগর বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের আয়োজনে সড়কে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বন্যা করিম আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৩ সালে প্রায় ৫ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমান সরকারের প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে দেশে সড়ক এক মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ঢাকঢোল পিটিয়ে সরকার জনগণের ভোটাধিকারসহ সব মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের জীবন হয়েছে বিপন্ন। মানুষ হারিয়েছে বিচার পাবার অধিকার।’image(1)

ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি অনুপম রায় রূপকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মেহেদী ও দফতর সম্পাদক নুসরাত হকের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সৌভিক করিমের মা বন্যা করিম, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ও গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, নারী সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা সুমি রেক্সোনা পারভীন, ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এইচ রিয়াদ, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, ঢাকা মহানগর শাখার নেতা তুহিন ফরাজী, জহির রায়হান ও রাকিব হোসেন।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের শুরুতেই সড়কে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষদের স্মরণ করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে অনুপম রায় রূপক বলেন, "সারা দেশে সড়কে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বন্ধের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে আমাদের আজকের এই সাংস্কৃতিক আয়োজন। সারা দেশের মানুষকে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উচ্চকণ্ঠ হবার আহ্বান জানাই।"

সমাবেশে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করে গানের দল ডেমোক্র্যাসি ক্লাউনস, সোহাগ রহমত অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, আমাদের পাঠশালার গানের দল। একক পরিবেশনা করেন সীমা আক্তার, জিনাত আরা, কিশোয়ার সাম্য, শাহরিয়ার রায়হান।