অনেকটা নীরবেই প্রস্থান করেছেন সাবেক সচিব, প্রবীণ রাজনীতিক ইনাম আহমেদ চৌধুরী। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তিনি রাজধানীর বনানীর বাসায় অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর একদিন আগেই (রবিবার) সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে বেশ কয়েক মিনিট আলাপ করেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। আলাপে তিনি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আলাপে তিনি জানান, কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে ফিরেছেন তিনি।
সম্প্রতি দেশে ও পার্শ্ববর্তী ভারতে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উত্থান, ভারতের করিমগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার নামের পরিবর্তন নিয়েও আশঙ্কার কথা বলেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইনাম আহমেদ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
রবিবার (২ জানুয়ারি) আলাপে ইনাম আহমেদ চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীতে জায়গা পেলেও দলের কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন না। তিনি এও জানান, সর্বশেষ গত বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করার কথা বলা হলেও তিনি রাজি হননি।
বিএনপি জোট সরকারের সময় প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গণমাধ্যমে চলমান ইস্যুতে লেখালেখি করতেন নিয়মিত। টেলিভিশনের টকশোতেও অংশ নিতেন মাঝে-মাঝে।
দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে, সোমবার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ইনাম আহমেদ চৌধুরীর জানাজা ও দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে বিএনপি ছেড়ে যাওয়া সিলেটের একজন নেতা, বর্তমানে একটি দলের চেয়ারম্যান, তার উৎসাহেই বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে গিয়েছিলেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। তিনি বিএনপির ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।