দেওয়ানগঞ্জে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ

জামালপুরআগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়েছে। এই প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ শাহানশাহ সমর্থকদের সঙ্গে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক মেয়র ও বর্তমান স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ নূরন্নবী অপুর সমর্থকদের মাঝে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ শাহানশাহর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। অপরদিকে ওই দিন রাতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শাহনেওয়াজ শাহানশাহর পক্ষ থেকে তার সমর্থকদের উপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ নূরন্নবী অপুর সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে উপজেলার চরভবসুর ঠোটাপাড়া মসজিদ মাঠে আরও একটি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ দেওয়ানগঞ্জ শাখার সভাপতি শওকাতুল হক কামাল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে হত্যার হুমকি দেওয়ায় কামাল চৌধুরী দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যদিও বিষয়টির সত্যতা এখনও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এ ঘটনার পর দিনই দেওয়ানগঞ্জ বাজারে মাদরাসা রোড এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার অভিযোগে প্রার্থী নিজেই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলীর ছেলে মাসুদ মিয়াকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাতেও দেওয়ানগঞ্জ থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, গত কয়েক দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তার সমর্থক শুভ, কালাম, রুকন ও সজিবকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ নূরন্নবী অপুর সমর্থকরা। এ ঘটনায় শাহনেওয়াজ দেওয়ানগঞ্জ থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেওয়ানগঞ্জ পৌর নির্বাচনের আগেই এই দুই মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা না হলে বড় ধরনের সহিংসতার পাশাপাশি নির্বাচনে বড় ধরনের মাসুল দিতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে। তাই বড় কোনও বিপর্যয়ের পূর্বেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে এখনই দ্রুত সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ নূরন্নবী অপুর সমর্থকদের মধ্যে ছোটখাটো দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার সংবাদ শুনেছি। তবে যে কোনও ধরণের সহিসংতা কঠোর হাতে দমন করতে পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

/আরএ/এআর/

আপ-এআর