জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৭৫, সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা

এ বছরের ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। গত বছর সাদাকাতুল ফিতর হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০ ও সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা ছিল। সেই হিসাবে সর্বনিম্ন ফিতরা ৫ টাকা বাড়লেও সর্বোচ্চ একই রয়েছে।
 
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
 
প্রসঙ্গত, ইসলামি শরিয়াহ মতে গম, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনও একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়।
 

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত গম, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্যগুলোর যে কোনও একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উন্নতমানের গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে।

ফিতরা যবের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ৩০০ টাকা প্রদান করতে হবে। কিশমিশের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৪২০ টাকা আদায় করতে হবে। খেজুরের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শত গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা দিতে হবে। পনিরের মাধ্যমে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য আছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় বাজার মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলে সভা থেকে জানানো হয়েছে।

সভায় মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী, জামিয়া শরীয়াহ মালিবাগের মুহাদ্দিস মুফতি আবদুস সালাম, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ির সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শায়খ আবু নোমান আল মাদানী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মুফতি ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম উপস্থিত ছিলেন।