১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে কেক কাটছেন না খালেদা জিয়া!

খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার জন্মদিন নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। বিগত কয়েক বছরগুলোতে তিনি ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক কাটেন। তবে এবারই প্রথম ১৫ আগস্ট কেক কাটছেন না বিএনপি প্রধান। দলটির কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় খালেদার।
নেতাকর্মীরা জানান, প্রথম প্রহরে কেক কাটার কোনও প্রস্তুতি বা নির্দেশনা এখনও আসেনি। তবে খালেদা জিয়ার চেয়ে সংগঠনগুলো  আগে উদ্যোগ নেয় কেক কাটার। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনও তথ্য পাননি বলে জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
গত বছরও ১৫ আগস্টের প্রথম প্রহরে তিনি কেক কাটেননি। তবে ওই বছরের ১৫ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কাটেন খালেদা জিয়া। এ বছরও সোমবার সন্ধ্যায় কার্যালয়ে কেক কাটতে পারেন তিনি। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জন্মদিনের কেক কাটার উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে পালন না করার আহ্বান ছিল গত বছর। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বছর দলীয় এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দয়া করে ১৫ আগস্ট আপনার জন্মদিন পালন না করে ১৬ বা ১৭ তারিখ করেন। আপনি তো ইচ্ছা করে ১৫ তারিখ জন্মদিন পালন করেন। ১৫ তারিখ তো আপনার জন্মদিন না। 

যদিও গত বছরেই জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক না কাটার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এপ্রিলে অনুষ্ঠিতএক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, জাতীয় নেতাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। জাতীয় নেতাদের নিয়ে বিতর্ক বন্ধ করতে হবে। জাতীয় নেতাদের নাম নিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। 

এরপর এ বছরের জাতীয় কাউন্সিলেও তিনি জাতীয় নেতাদের সম্মান করতে সব দলকে আহ্বান জানান। 

ধারণা করা হচ্ছে, তার এই অবস্থানের কারণেই তিনি জাতীয় শোকদিবসের প্রথম প্রহরে জন্মদিনের কেক না কাটার সিদ্ধান্ত নেন গত বছর। এ বছরও এর ব্যত্যয় হবে না বলে মনে করেন বিএনপির কয়েক জন নেতা। 

বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনায় তারা মুখ খুলতে নারাজ। 

জানা যায়, খালেদা জিয়ার সামনে কেক না কাটলেও বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনগুলো, বিশেষ করে ছাত্রদল প্রথম প্রহরে নিজেদের উদ্যোগে কেক কাটতে পারে। গতবারও সংগঠনটি কেক কেটেছিল। 

জানতে চাইলে সংগঠনের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। 

এদিকে, বিএনপি প্রধানের জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও দলটির নেতা গয়েশ্বর রায় ২০১৪ সালে এক অনুষ্ঠানে জানান, খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৫ সালে। 

ইন্টারনেটে প্রাপ্ত সূত্রে দেখা গেছে, বাংলা পিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি বইয়েও তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দেখানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট  খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন ৫০ পাউন্ডের কেক কেটে। 

এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়তে পারেন:  আশা করি এবার খালেদা মিথ্যা জন্মদিন পালন করবেন না: নানক

অারও পড়ুন:মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করলেন কর্নেল অলি

এসটিএস/এমএসএম/