পর্যটকবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহী বিদেশিরা

pata

প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বৃহৎ ইভেন্ট ‘পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার ফোরাম ২০১৬’ সম্মেলনে যোগ দিতে কক্সবাজারে এসেছেন প্রায় ১২টি দেশের ট্যুর অপারেটর, পর্যটন বিশেষজ্ঞ এবং এ খাত সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশের পর্যটকবান্ধব পরিবেশে দেখে আগ্রহী বিদেশিরা।  নিরাপত্তা নিয়েও কোনও সংশয় নেই তাদের। বুধবার থেকে তিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয় কক্সবাজারে। দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সম্মেলনে যোগ দেওয়া অতিথিদের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখানো হয়।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া  ‘পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার ফোরাম ২০১৬’ সম্মেলনে ১২টি দেশ থেকে নীতি নির্ধারক, পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমসহ  প্রায় ২০০ জন অতিথি অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার দেশী-বিদেশি ট্যুর অপারেটর এবং খাত সংশ্লিষ্টদের কক্সবাজার, মহেশখালী, রামু এবং হিমছড়ির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখানো হয়।বাংলাদেশে  পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কেন তারা বাংলাদেশ ভ্রমণে আসবেন, সে বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়। সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দেশি খাবারের বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়। ২৫ নভেম্বর শুক্রবার শেষ হবে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত পর্যটন বিশেষজ্ঞ পিটার এসব স্থান ঘুরে নিজের মুগ্ধতার কথা তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বাংলাদেশের উচিত এগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।

নিরাপত্তা  প্রসঙ্গে মি. পিটার বলেন, সন্ত্রাসীরা সারা বিশ্বের জন্যই হুমকি।   সারা বিশ্বে বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটছে, তবুও ভ্রমনকারীরা থেমে নেই। এজন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে বিদেশি পর্যটকদের জন্য হুমকি রয়েছে ভাবা ঠিক নয়।

পর্যটন বোর্ডের আয়োজনে কক্সবাজার, মহেশখালী, রামুর বিভিন্ন  স্থানগুলো দেখে বিদেশি ট্যুর অপারেটররা বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মিয়ানমারের ভ্রমণ বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘‌মাই ম্যাজিক্যাল মিয়ানমার’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম এসেছি। আমি অভিভূত হয়েছি। আর্কষণীয়  স্থান, মন্দির এবং  আথিথেয়তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আশা করছি বাংলাদেশের এ স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহী করবে।  অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণবান্ধব বলেন তিনি।

এদিকে  স্থানীয়রাও আশা প্রকাশ করে জানান, সরকার পর্যটন খাতের উন্নয়নে উদ্যোগী হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, একজন পর্যটকের আগমনে ১১ জন ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। সরকার পর্যটন খাতের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশ পর্যটকদের জন্য নিরাপদ। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সরকার সব সময় পর্যটন স্পটগুলোর উন্নয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে।

/সিএ/টিএন/