বৈঠকে মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, ‘কোনও ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট ডাকায় জনগণের জান-মালের যে ক্ষতি হয়েছে, তার দায়ভার নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানকেই নিতে হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, ধর্মঘটের পেছনে মন্ত্রীর শক্তিশালী ইন্ধন ছিল। তার বাসবভনের বৈঠকের ধর্মঘটের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বহু বিতর্কের জন্মদাতা এই নৌমন্ত্রী দেশে নৈরাজ্য ও অরাজক পরিবেশ তৈরি করে অবৈধ স্বার্থসিদ্ধি করতে চেয়েছিলেন। গণবিরোধী এ কাজে ইন্ধন দিয়ে তিনি মন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। এই বিতর্কিত ব্যক্তি নিজ পদে বহাল থাকলে সরকার ও জনগণের বিভাজনের রেখা আরও তীব্র হবে। আমরা অবিলম্বে নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের অপসারণ দাবি করছি।’ ধর্মঘটের ইন্ধনদাতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, সাংগঠনিক সচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আনছারুল হক ইমরান প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে: খেলাফত মজলিস
পরিবহন ধর্মঘটে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর মদদ রয়েছে: মির্জা ফখরুল
/সিএ/টিআর/