বুধবার (১০ মে) বিকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন ৪টা ৫৬ মিনিটে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করে জনগণের জন্য ন্যয় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা হবে। অধঃস্তন আদালতকে নির্বাহী বিভাগের আওতামুক্ত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা সচিবালয় স্থাপন করা হবে।’
‘নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, দ্রুত ও গ্রহণযোগ্য’ করতে চায়। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সমাজে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা সম্মানীয়, নীতিবান, যোগ্য ও আদর্শ মানুষদের দিয়ে পাইলট ভিত্তিতে ‘জুরি’ ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করা হবে।’
প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে মামলার জট কমিয়ে আনার উল্লেখ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আদালতে মামলার বোঝা কমানো এবং স্থানীয় বিচার ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি উৎসাহিত করা হবে। এ লক্ষ্যে গ্রাম-আদালতকে উপযুক্ত সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর আদালত হিসেবে রূপান্তর করা হবে।’
বর্তমানে বিদ্যমান ইউনিয়ন কাউন্সিল ব্যবস্থায় গ্রাম-আদালতের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী অনানুষ্ঠানিক সালিসি আদালত পুনঃপ্রবর্তন করা যায় কিনা তা’ পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও জানান খালেদা জিয়া।
এছাড়া খালেদা জিয়া বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সচিবালয় নির্মাণের জন্য ফলক উন্মোচন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সচিবালয় নির্মাণের কার্যক্রম উদ্বোধনের জন্য সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তবে এর কোনও অগ্রগতি নেই। সচিবালয়ের ফলক উন্মোচনের মধ্যেই আটকে রয়েছে আলাদা সচিবালয় নির্মাণের কাজ।
/এসটিএস/এসএমএ/