ভাস্কর্য সরানোর ঘটনায় গতি পাবে মৌলবাদী রাজনীতি

বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য ‘লেডি জাস্টিস’ সরিয়ে ফেলা হয়

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ন্যায় বিচারের প্রতীক ভাস্কর্য অপসারণের মাধ্যমে মৌলবাদী হেফাজতসহ কতিপয় ইসলামপন্থী দলকে যে মাত্রায় প্রশ্রয় দেওয়া হলো, তাতে মৌলবাদী রাজনীতির সংস্কৃতি গতি পাবে। সরকারের ইচ্ছায় এবং হেফাজতের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার নূরুল শরীফ আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণের রাজনীতির সঙ্গে এই ভাস্কর্য ছিল মানানসই এবং উজ্জ্বল। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই ভাস্কর্য স্থাপন করেছিল। অপসারণের বিষয়ে তারা এখনও পর্যন্ত কোনও বক্তব্য দেয়নি। তবে সরকারের ইচ্ছা এবং হেফাজতের সঙ্গে এক রকমের রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে যে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাস্তবে এই ঘটনার মাধ্যমে মৌলবাদী হেফাজতসহ কতিপয় ইসলামপন্থী দলকে যে মাত্রায় প্রশ্রয় দেওয়া হলো, তাতে মৌলবাদী রাজনীতি-সংস্কৃতি গতি পাবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভাস্কর্য অপসারণ করায় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল মানুষের  মনকষ্টের কারণ হবে। বাস্তবে আমাদের স্বপ্নের আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণকল্পে সংস্কৃতি অঙ্গনে যে গতিশীল ধারার জন্ম হয়েছিল, তার ওপর জোর আঘাত করা হলো। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে জাসদ জানায়,  বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতির প্রতিষ্ঠা করেছিল। জামাত ও জঙ্গিরা তাদের কাছের মিত্র। আওয়ামী লীগ, জাসদসহ অন্য গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দলগুলো তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। সেই আওয়ামী লীগ এখন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গোঁড়া শক্তিকে জায়গা করে দিলো। এভাবে কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার রাজনীতি সামাল দেওয়া যাবে? দেশের গণতান্ত্রিক মহলে এই প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। বিভক্তির পথে নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে।

/এপিএইচ/