গুলশানে নতুন কমিটির দাবিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তোলা ছবিবর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে আট মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও নতুন কমিটি না হওয়ায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বুধবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভকালে বিএনপির কয়েকজন দ্বিতীয় সারির নেতা বিক্ষোভরত ছাত্রদল নেতকর্মীদের সান্ত্বনা দিলে তাদের বেশিরভাগ গুলশান এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও (বুধবার দিবাগত রাত ১টা) অর্ধশতাধিক নেতাকার্মী বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত থেকে বিক্ষোভ করছেন।ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ (ছবি: সংগৃহীত)
ছাত্রদল সূত্র জানায়, ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের অক্টোবর মাসে। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান ও সেক্রেটারি আকরামুল হাসান নতুন কমিটি গঠনের কোনও উদ্যোগ নেননি। ‘খালেদা জিয়া’র নির্দেশ নেই উল্লেখ করে তারা প্রায় আট মাস ধরে সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব গঠনের প্রক্রিয়া আটকে রেখেছেন। বিশেষ করে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকীয় পদটি খালি থাকায় তারা সুযোগ গ্রহণ করছেন। এছাড়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বারবার ধর্ণা দিলেও তারা কোনও ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের। তারা বলছেন, এসব কারণে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে সামনে রেখে বিষয়টিকে তার সামনে তুলে ধরতেই বিক্ষোভের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।
গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ছাত্রদলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী কার্যালয়ের আশেপাশের সড়কগুলোয় অবস্থান নেন। এসময় মামুনুর রশীদ মামুন, এজমল হোসেন পাইলট, আবদুল ওয়াহাব, আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, ইসহাক সরকার, আবদুল করিম সরকারসহ কয়েকজন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে তাদের অনুসারীরা বিক্ষোভ করে। তারা কমিটির দাবিতে স্লোগান দেয়। স্লোগানে রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসানের বিরুদ্ধে কমিটি না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। খালেদা জিয়া কার্যালয়ে প্রবেশের আগ পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ করতে থাকে।ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ (ছবি: সংগৃহীত)
ছাত্রদল সূত্র জানায়, বিক্ষোভকালে গাড়ি থেকে নেতাকর্মীদের দিকে তাকালেও কোনও কথা বলেননি খালেদা জিয়া। তবে এসময় কামরুজ্জামান রতন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সান্ত্বনা দেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির প্রথম সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা অনেকবার বিভিন্নভাবে কমিটি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের প্রত্যাশাকে পাশ কাটিয়ে গেছেন বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি। এজন্য সাধারণ কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে।’
একই মত দেন যুগ্ম-সম্পাদক বায়েজিদ আরেফিন। তিনি বলেন, ‘একেবারে অনৈতিকভাবেই বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি কমিটি হতে দিচ্ছেন না। নেতাকর্মীরা ম্যাডামের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, তিনি যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সভাপতি রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসানকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাদের নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন-

৫৭ ধারায় খুবই নগণ্য সংখ্যক সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

ছাত্রলীগের সাধারণ সভায় হট্টগোল: তোপের মুখে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

/এসটিএস/টিআর/