সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চা ঐক্যবদ্ধ: ২৭ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার নেতারানানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দেশের বামদলগুলোর দুটি প্রধান রাজনৈতিক জোট। জোট দুটি হচ্ছে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (সিপিবি-বাসদ জোট) ও আট দলীয় জোট গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে বাংলা ট্রিবিউন বামদের ঐক্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিপিবি-বাসদ-বাম মোর্চার জোটের কর্মসূচি প্রণয়নে একটি ‘ড্রাফটিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বাম মোর্চার সমন্বয়ক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) সেক্রেটারি শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, সিপিবি প্রেসিডিয়ামের সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ।

পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ঐক্যবদ্ধ দাবিনামা ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে খসড়া কর্মসূচি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের অগণতান্ত্রিক-ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ড, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতসহ জনজীবনের সংকট দূর করার দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় ঐক্যবদ্ধ সমাবেশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার বিকালে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার যৌথসভায় দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুর্যোগ, সংকট অবক্ষয় থেকে দেশকে মুক্ত করা জরুরি কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ ও লুটপাটতন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচাতে এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশকে অগ্রসর করতে রাজনীতিতে বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট এর দ্বি-দলীয় ধারার বিপরীতে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার এই সংগ্রামে দেশের অপরাপর বাম প্রগতিশীল দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় বলা হয়, “বামপন্থী শক্তির এই আন্দোলনের ধারা কেবল স্লোগান নির্ভর হবে না। বিকল্প কর্মসূচি তুলে ধরে আমরা মানুষের কাছে হাজির হবো। দেশে চলমান সাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্রের যে ধারা চলছে, তার বিপরীতে বিকল্প শক্তি-সমাবেশ ও জনগণের ঐক্য গড়ে তুলবো।”

জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, দাবিনামা ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

/এসটিএস/এপিএইচ/