যারা আকারে-ইঙ্গিতে ইতিহাস বিকৃত করতে চাইছেন, তাদের বিচার হবে: শেখ সেলিম

 

শেখ সেলিম (ফাইল ছবি: সংগৃহীত)বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান ইতিহাস বিকৃত করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘আজ অনেকেই আকারে-ইঙ্গিতে ইতিহাস বিকৃতি করতে চাইছেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই, তারাও একই গ্রুপের লোক। সময়ে তাদেরও বিচার হবে। ইচ্ছে করে যা খুশি তা করা যায় না।’  শনিবার বিকালে কৃষিবিদ ইস্টিটিউট মিলনায়তনে যুব মহিলালীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 কারও নাম উল্লেখ না করে শেখ সেলিম বলেন, ‘ক্ষমতার চেয়ারে বসে যা খুশি তাই করবেন, তা করা যায় না। দেশের জনগণ সময়মতো সঠিক উত্তর দেবে।’

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘খুনিদের বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যেতে অনেক সময় লেগেছিল। ওই সময় বঙ্গবন্ধু বেশ কয়েক জায়গায় ফোন করেছিলেন। আর্মি চিফ সফিউল্লাহকেও ফোন করেছিলেন। কর্নেল জামিলকে ফোন করার সঙ্গে-সঙ্গে তিনি গণভবনের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। সফিউল্লাহকে একবার নয়, দুই বার ফোন করেছিলেন। বলেছিলেন, সফিউল্লাহ তোমার সেনাবাহিনী আমার বাড়ি আক্রমণ করেছে। সফিউল্লাহ উত্তরে বলেছিলেন, আপনি একটু পাশে কোনও জায়গায় আশ্রয় নিতে পারেন না? কেন এ নীরবতা? কেন সেদিন সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে আসেনি?’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, ‘সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ, ডেপুটি চিফ জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ ও সাফায়াত জামিল কেন আসেননি? এ রহস্য এখনও উন্মোচিত হয়নি। ১৪জন সেনাকর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও আর তারা সেটা নীরবে দেখলেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে এলে তিনি বেঁচে যেতেন। তারা কেন এলেন না? এর রহস্য কী? তা বের করতে একটা কমিশন গঠন করা দরকার। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়েছে।’ এখন সত্যিকার রহস্য বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

শেখ সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে যারা বেঈমানি করেছেন, তারা কেউ বাঁচেননি। এ জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ ও ওইভাবে চলে গেছেন। সফিউল্লাহ তো আজকে জীবন্মৃত। মানুষ তাকে ঘৃণা করে।’

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জাহান, যুব মহিলা সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল লীগের সহ-সভাপতি জাকিয়া পারভীন মনি, কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোদেজা নাছরীন, জেদ্দা পারভীন খান রিমি, সাংগঠনিক সম্পাদক সালমা ভূঁইয়া চায়না, শারমিন সুলতানা লিলি, শারমীন সুলতানা শরমী, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ঝুমা প্রমুখ।

 আরও পড়ুন: ‘বিচারপতি খায়রুল হক আদালত অবমাননা করেছেন’

/এমএনএইচ/