আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার সংগ্রাম: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার সংগ্রাম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব অধিকার ফিরিয়ে নেওয়া থেকে মুক্তির আন্দোলনের যে সংগ্রাম আসছে, তা  বাঁচা-মরার সংগ্রামে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর কোনও বিকল্প নাই। এতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জনগণ প্রস্তুত। যে যেখানে আছে আমাদের নেমে পড়তে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে, মুক্ত করতে হবে।’

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খসরু। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি।

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বতঃপ্রণোদিত নীলনকশার অংশ হিসেবে মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। আর এর

পেছনে কাজ করছে একটি শক্তি। যারা বাংলাদেশে ক্ষমতায় যাওয়া এবং দখল করে বছরের পর বছর থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। যা শুধুমাত্র করা হয়েছে সংবিধান পরিবর্তন করে।’

বিএনপি নেতার ভাষ্য, ‘সংবিধান হচ্ছে জীবন্ত দলিল। এর মৃত্যু হতে পারে না। সরকার নিজেদের সুবিধার্থে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে সংবিধানে কিছু পরিবর্তন করেছে। তারা সংবিধানকে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, এতে হাত দেওয়া যাবে না। কারণ, সংবিধানে হাত দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। মানবাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। অথচ সরকার

সংবিধান পরিবর্তন করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করতে এবং কারও কারও পারিবারিক নিরাপত্তার জন্য।’

‘কিন্তু একটি কথা স্পষ্ট, সংবিধান মানুষের অধিকার সুরক্ষায় জন্য। তাই যতবার প্রয়োজন হবে ততবার সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে’-বলেন খসরু।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,  ‘বাংলাদেশে এখন আইনের শাসন অনুপস্থিত। শাসকের আইন। জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে পুরোপুরি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

প্রধান বিচারপতিকে রীতিমতো পালিয়ে যেতে হয়েছে।তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গুমের স্থান হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর একটি অংশ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর মাধ্যমে গুম করছে। ফলে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস একাকার হয়ে গেছে। কারণ, গণতন্ত্রের আবরণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ভয়ঙ্কর ব্যাপার।’

বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান সাংবাদিক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, নারী নেত্রী জুয়েলা পারভীন প্রমুখ।