জমিয়তে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার: বৃহস্পতিবার একাংশের সম্মেলন

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশপাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে ভেঙে গেলো বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর অংশের নেতারা দলের নির্বাহী সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাসকে বহিষ্কার করেন। এদিকে, মুফতি ওয়াক্কাসের নেতৃত্বাধীন আরেক অংশ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রেসক্লাবে জাতীয় সম্মেলন ডেকেছে। এই সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় মুফতি ওয়াক্কাসের নেতৃত্বাধীন অংশের নেতা মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান এক বিবৃতিতে জানান, গত ১২ ডিসেম্বর জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুককে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে মুফতি ওয়াক্কাসের বহিষ্কার অবৈধ।
মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান জানান, বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠেয় জমিয়তের জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে এসব কার্যকলাপের জবাব দেওয়া হবে।

তার দাবি, তথাকথিত জমিয়ত নেতাদের নামে যে বিবৃতি মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কোনও প্রকার প্ররোচনায় আগামী কালের (বৃহস্পতিবারের) সম্মেলন বন্ধ হবে না। জমিয়তের সব জেলা, মহানগর ও থানার সব দায়িত্বশীলদের যথাসময়ে সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান নেতারা।

এদিকে, বুধবার বিকালে পুরানা পল্টনে নূর হোসাইন কাসেমীর পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমিয়ত বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মুফতী মোহাম্মাদ ওয়াক্কাসকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এসময় লিখিত একটি বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়। এতে বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর (২০১৭) অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার (ওয়াক্কাসকে) কার্যনির্বাহী সদস্যপদ স্থগিতের জন্য দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের কোনও জবাব তিনি মঙ্গলবার পর্যন্ত দেননি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংগঠনবিরোধী তৎপরতা বন্ধ করার শর্তে গত ৭ জানুয়ারি  সিলেটে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের সভাপতি শায়েখ আব্দুল মু’মীন তাকে (ওয়াক্কাসকে)   দলে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও তিনি সংগঠনবিরোধী তৎপরতা বন্ধ করেননি।

একইসঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সহ-সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমানের সদস্যপদ স্থগিত করার লক্ষ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।