শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান-২ এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু ভেবে থাকেন, তাহলে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংলাপের মাধ্যমেই ২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে অর্থবহ সমাধানে আসা সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও বিধান নেই। সংবিধান অনুযায়ী যদি সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। কারণ সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচনকালীন সরকার হবে বর্তমান সরকারের অনুরূপ। নির্বাচনকালীন সরকার কেবল রুটিন ওয়ার্ক করবে এমন কিছু সংবিধানে উল্লেখ নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শাসনকে পাকাপোক্ত করার একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবিধান ও গণতন্ত্র সবসময় সমার্থক হয় না। যদি হতো তাহলে হিটলার ও মুসোলিনির শাসনকেও গণতান্ত্রিক বলা হতো। কারণ তাদের শাসনও সংবিধান অনুযায়ী ছিল।’
নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কেমন হতে পারে তা নিয়ে বিএনপির একটি চিন্তাভাবনা আছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হলে দেশে যে অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সরকারের সময় ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, খুন-গুম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বিদেশে টাকা পাচার সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনটি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মঈন খান, আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।