মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষোভের সঙ্গে বলছি, এই আদেশে সরকারের যে ইচ্ছা, সেই ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার স্থল যে সর্বোচ্চ আদালত, সেই সর্বোচ্চ আদালত থেকে আমরা ন্যায় বিচার পেতে বঞ্চিত হয়েছি, খালেদা জিয়া বঞ্চিত হয়েছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রীকে এভাবে বন্দি করে রাখার একটাই উদ্দেশ্য, গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে কবর দিয়ে দেওয়া। চালু একটা কথা আছে, কফিনের শেষ পেরেকটি মেরে দেওয়া। কফিনে শেষ পেরেকটি মারা হয়েছে আজ। দেশনেত্রীকে জামিন না দিয়ে এটা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগের ওপর ভর করে, তাদের ব্যবহার করে এভাবে মানুষের অধিকারগুলো হরণ করে নিচ্ছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দেশের সব রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক দল, সামাজিক সংগঠন, গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘খুব কৌশলে যাচ্ছে কিন্তু। কৌশলটা হচ্ছে জামিন স্থগিত করে দিয়েছে, নাকচ করেনি। এরপর লিভ টু হিয়ারিং হবে লিভ টু আপিলের। অর্থাৎ এভাবে ক্রমান্বয়ে যেতে থাকবে এবং তাকে (খালেদা জিয়া) আটকে রাখা হবে।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘আমরা আজ বিক্ষুব্ধ হয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। আপনারা জানেন, পাঁচ বছর সাজায় সাধারণত আপিল করলেই জামিন হয়ে যায়। সেই মামলায় জামিন পাওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা তার আইনগত অধিকার। তবে জামিন ও তাকে কারাগার থেকে বের করে আনার যে আইনি প্রক্রিয়া, সেই আইনি প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত সচেতনভাবে বাধা দিচ্ছে সরকার।’
আরও পড়ুন- ৮ মে পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত