খালেদা জিয়াকে জীবিত ফেরত দেবে না এই সরকার: গয়েশ্বর

বক্তব্য রাখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
জেলখানা থেকে খালেদা জিয়াকে শেষ মুহূর্তে যদি ফেরত দিতে হয়, তবে জীবিত ফেরত দেবে না এই সরকার। তাই জেলের তালা কীভাবে ভাঙতে হয়, এদেশের জনগণ তা দেখিয়ে দেবে। খালেদা জিয়াকে যারা জেলে পাঠিয়েছে, তাদের ক্ষমতায় রেখে এদেশে গণতন্ত্রের কোনও ভবিষ্যৎ নাই। মঙ্গলবার ( ১৭ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেকেই যুক্তি দেখায়—আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো, নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে। নির্বাচনে অংশ নিতে চান আন্দোলনের কৌশল হিসেবে। এ কথাও আছে—সরকার নাকি ৩০-৯০টি আসন বিএনপিকে দিতে চায়। আমি জানতে চাই, আসনের মালিক কি শেখ হাসিনা? যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করছি কেন? আন্তর্জাতিক মহল বিরোধী দল বলতে এখনও বিএনপিকে চেনে। আমাদের কৌশল এখন একটাই হওয়া উচিত—তা হলো, জনগণের রাস্তায় নামা। এর ফলাফল অবশ্যই দৃশ্যমান হবে।’

ঐক্যের কোনও বিকল্প নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সেই ঐক্য মান্নান ভূঁইয়ার মতো আলোচনা করার মতো নয়। আমাদের আগে ঠিক করতে হবে, এরকম পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা? আমরা যদি নির্বাচনে যাই, তাহলে ২০১৪-তে কেন গেলাম না নির্বাচনে? আমরা সবসময় নিরপেক্ষ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছি, এ দেশের মানুষও তাই চায়। এই দাবি আদায়ের পর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা। এজন্য কেউ কেউ আমাকে বলেছেনও ‘চুপচাপ থাইকেন’ ।’’

অনেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে নির্বাচনকে জরুরি মনে করেন দাবি করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমি যখন জেলে ছিলাম, তখন কালো পতাকা মিছিলসহ নানা কর্মসূচির কথা পত্রিকায় পড়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির চেয়ে নির্বাচন বেশি জরুরি। যদি এভাবেই আন্দোলন করে যান, তাহলে সরকার কী কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে? আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যদি জনগণকে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দিতে পারি, তাহলে বিএনপি যে আসনে দাঁড়াবে প্রত্যেক আসনেই জয়লাভ করবে।’