কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা ছিল তারেকের: সেতুমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি:সংগৃহীত)তারেক রহমান লন্ডনে বসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে তারেক রহমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আমরা দেখেছি, তার একটি অডিও টেপ আমরা শুনেছি।’ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঐতিহাসিক ১৭ ই এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপিকে উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ৭ মার্চ মানে না, তারা মুক্তিযুদ্ধ মানে কিনা সন্দেহ আছে। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার সমর্থন করেনি, বিরোধিতা করেছে, তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে বাস করেও তারা পাকিস্তানের সেবা দাস।’ তিনি বলেন, ‘আজ প্রমাণ হয়ে গেছে, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে নির্বাচনের সময়। তারা মুক্তিযুদ্ধকে চেতনায় লালন করে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে, আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকার করি না। তারা শুধু নির্বাচনের ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে, মানুষকে প্রতারিত করে।’ তিনি বলেন, ‘তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। ২১ আগস্ট বিএনপির সরকার আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তাদের যুবরাজ তারেক রহমান এখন টেমস্ নদীর পাড়ে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।  তারা ৯ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়েও ৯ মিনিটের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। আমরা বাধাও দেইনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর ছাত্ররা যখন ফিরে গেলো তখন বিএনপির নেতৃত্ব চুপসে গেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

দলের মহানগর নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের যে ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি দরকার, তা রাজধানী ঢাকা মহানগরের ঐক্যবদ্ধতা দিয়েই শুরু হতে পারে। এখানে বিভেদ অব্যাহত থাকলে অন্যরা সুযোগ নেবে। আমাদের বুঝতে হবে, ঘরের ভেতর ঘর তৈরি হলে পরিণতি ভালো হয় না। সুতরাং আগামী নির্বাচনের জন্য নিজেদের তৈরি হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো সমস্যা সব দলে থাকে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সদস্য সংগ্রহ অভিযান পুরোপুরি শুরু করতে হবে। কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে করে ফেলতে হবে। যেসব কমিটিতে সমস্যা হয়েছে, তাদের সময় দেওয়া হয়েছে কমিটি ঠিক করে ফেলার জন্য। একটি কমিটিতে এত বেশি পদ, নিচের দিকে নেতা-কর্মীদের জায়গা দিলে ক্ষতিটা কী? ছোট ছোট মনোমালিন্য নির্বাচনের সময় বড় বড় বিভেদের জন্ম দেয়।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর শাখার সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন দক্ষিণ শাখার প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন।  এসময়  আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদ্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।