‘পরাজয়ের ভয়ে গাজীপুরে নির্বাচন স্থগিত করেছে সরকার’

বিশ দলীয় জোট

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচন স্থগিত করেছে বলে মনে করছে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট। জোটের নেতারা বলছেন, এ নির্বাচনে সরকার যে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় রায় দিয়ে কারাবন্দি করেছেন, জনগণ তার জবাব ভোটের মাধ্যমে দিতেন। এ ভয়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার কোর্টকে ব্যবহার করে নির্বাচন স্থগিত করেছে। তবে খুলনা সিটি করপোরেশন স্থগিত হতে পারে এমন কোনও শঙ্কা দেখছেন না বিএনপির নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপির পক্ষে গাজীপুরে যে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা, সরকারের প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ তাতে নিশ্চিত হয়েছে যে জনজোয়ারে ভোট ডাকাতি করেও শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিশ্চিত হবে। এ চিন্তা করেই তারা হাইকোর্টকে ব্যবহার করে এ নির্বাচন স্থগিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশে হাইকোর্ট এ নির্বাচন স্থগিত করেছে। আমাদের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে জনজোয়ার দেখে ভয় পেয়ে সরকারই এ কাজ করেছে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কখনও এটাকে সিটি নির্বাচন মনে করতাম না, এটাকে গণভোট হিসেবে ধরে নিয়েছি। এ গণভোট হতো ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার যে বেআইনি ও অমানবিক আচরণ করছে তার বিরুদ্ধে। সেখানে আমরা ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, গতবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১ লাখ ৭ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিল। এবার ২ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সেই সাহস নেই নির্বাচন মোকাবিলা করার। কারণ, সরকার মৃত্যুকে ভয় পায় না, কিন্তু নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই কোর্টকে ব্যবহার করে নির্বাচন স্থগিত করেছে।

এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচন স্থগিত করলে সরকার আরও বেশি সমালোচনার মধ্যে পড়বে। এ কারণে এই সিটি নির্বাচন স্থগিত করবে না বলে আশা করছি।