খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ বৃহস্পতিবার, অনশন সোমবার

 



খালেদা জিয়াদলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি একই দাবিতে আগামী সোমবার (৯ জুলাই) ঢাকায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সোমবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার আইনি বিষয় নিয়ে কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনি আচরণ এখন নির্বাহী ক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তার যে জামিন, যে সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা না দিতে সরকার ন্যাক্কারজনকভাবে অপকৌশল গ্রহণ করছে। সরকার এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে চায়। হাইকোর্টে তার মূল মামলায় জামিন হলেও বেরুতে পারছেন না ম্যাডাম।’
তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে মিথ্যা ঘটনার ওপর তাকে আসামি করা হয়েছে। জামিন বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে কারাগারে দীর্ঘস্থায়ীভাবে আটক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কাজে আমরা ঘৃণা জানাই এবং অবিলম্বে ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনমির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার আইনি প্রাপ্যতা দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর ব্যাপারে যে আচরণ, তাতে সর্বোচ্চ আদালতের ওপর আস্থায় চিড় ধরে গেছে।’
কর্মসূচির বিষয়ে মির্জা ফখরুল জানান, আগামী ৫ জুলাই সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে জেলায় জেলায় ও সদরগুলো সুবিধামতো সময়ে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে সকাল ১১টায়। এরপর ৯ জুলাই প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে অনশন পালন করা হবে। সেক্ষেত্রে রাজধানীর প্রেসক্লাব বা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।