বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আরও মনে করি যে বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে এদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনে যে বাধা সৃষ্টি করেছে তার প্রতিবাদ জানানোর জন্য বিশ্বখ্যাত আইনজীবী লর্ড কার্লাইল দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকার তাকে ভিসা না দেওয়ার কারণেই লর্ড কার্লাইল ভারতে আসতে চেয়েছিলেন। তাকে ভারতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় আমরা মর্মাহত। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে চলমান স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের অব্যাহত আন্দোলনের প্রতি মুক্তবিশ্বের সমর্থন থাকবে।’ দলের সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কার্লাইলকে ফেরত পাঠানো হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে বাংলাদেশে আসতে না পেরে ভারতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা ছিল ব্রিটিশ এই আইনজীবীর। তার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপির আইনজীবীরাও তৎপর ছিলেন। বিশেষ করে দুদিন আগে ভারতে যান বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ভারতে বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) যাওয়ার কথা ছিল বিএনপির অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবদীনেরও। যদিও তিনি গত রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এ ধরনের পরিকল্পনা তার নেই।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, কার্লাইলের ভারত সফরের বিষয়টি সরাসরি লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়েছে। আর এ কারণেই দলের আইনজীবী অনেকেই এ বিষয়ে অন্ধকারে ছিলেন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে মঙ্গলবার বিকালে জানান, কার্লাইলের ভারত সফর নিয়ে তার জানা নেই। যদিও স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, তার বিষয়টি জানা ছিল এবং কয়েকজনের ভারত যাওয়ার কথা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ম্যাডামের মামলার বিষয়ে তার কথা বলার ছিল।’