‘দেশের উন্নয়ন করে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় কিসের’

বক্তব্য রাখছেন ড. আব্দুল মঈন খানসরকার দেশের উন্নয়ন করে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় কিসের বলে প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, ‘সরকার যদি দেশের উন্নয়ন করে থাকে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে কেন? উন্নয়ন করে থাকলে জনগণ তো আপনাদের ভোট দেবে। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, সরকার নার্ভাস আছে। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদে নামে প্রায় ৭৮ হাজার মামলা দিয়েছে এবং যেভাবে অন্যায় নিপীড়ন চালাচ্ছে, তারপরেও তারা এত নার্ভাস কেন? কারণ, তারা অন্যায় ও দুর্নীতি করছে। আর যারা অন্যায় দুর্নীতি করে তাদের মানসিকতা এরকমই থাকে—এই বুঝি ক্ষমতা চলে গেলো।’

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের কচুকাটা করবে। আমার প্রশ্ন—আপনারা কী এমন করেছেন যে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মানুষ আপনাদের কচুকাটা করবে? আপনারা যদি দেশের উন্নয়ন করে থাকেন, তাহলে মানুষ আপনাদের কচুকাটা করবে কেন?’

খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে হবে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘এটাই আমাদের দাবি। এই দাবি আমরা সরকারের কাছে করবো না। এই দাবি করবো জনগণের কাছে। প্রত্যেক জনগণের দায়িত্ব আছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা এবং স্বৈরশাসককে বিতাড়িত করার। পৃথিবীর কোনও স্বৈরশাসকই এমনি এমনি বিতাড়িত হয়নি। স্বৈরশাসককে বিতাড়িত করতে হলে আন্দোলন করে তাদের চলে যেতে বাধ্য করতে হবে এবং বিএনপিকে আগামীতে সেটাই করতে হবে।’

কোনও স্বৈরশাসকের অত্যাচারে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না, এমন ধারণা ভুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে থাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে কোনও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে একটি গৃহপালিত বিরোধী দল তৈরি করবে, আমরা এবার সেটা হতে দেবো না। অনেকেই বলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না। আমি বলবো, কোনও কাঁচামাটির ভিত্তিতে বিএনপি স্থাপিত না যে কোনও স্বৈরশাসকের অত্যাচারে তার অস্তিত্ব থাকবে না। বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যার ভিত্তি অত্যন্ত শক্তিশালী। যারা বলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না, তারা বিএনপি সম্পর্কে জানে না।’