‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন’

 

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদতত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। সরকারি খরচে বিশাল আয়োজন সম্পন্ন করা হচ্ছে, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদেরকেও একইভাবে সমাবেশ করতে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে অনেক লোক হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে তিনি এবং তার দল অনেক জনপ্রিয়। আমরা আশা করবো— এই জনপ্রিয়তা প্রমাণের জন্য আজকের গণসংবর্ধনা থেকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।’

শনিবার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সভাটির আয়োজন করা হয়।  

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা নেই এমন দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই সরকার একটি অসহনশীল সরকার। এই সরকার কোনও ধরনের সমালোচনা বরদাস্ত করতে পারে না। এই কোটা আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল জড়িত না। কোনও রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনও জড়িত না। এটা সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত একটি আন্দোলন। সরকার যতই চেষ্টা করুক, এটাকে ঠেকাতে পারবেনা। কারণ এই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর আশা আকাঙ্ক্ষা হলো মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া।’

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই কোটা সংস্কার করা যাবে না এমন দাবি করে মওদুদ আহমদ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত ১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে নিজেই বললেন কোটা বাতিল করে দিলাম। এখন আবার তিনি বলছেন— কোটা পদ্ধতি থাকতে হবে। উনি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে বলছেন— রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে চাই— প্রধানমন্ত্রীকে ঠিকভাবে জানানো হয়নি, যে সুপ্রিম কোর্টের এমন কোনও রায় নেই; যেখানে বলা আছে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যাবে না। এই ধরনের কোনও রায় যদি দেখাতে বলা হয় পারবেন না তারা। এই রায়ের অজুহাত দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেই ওয়াদা দিয়েছিলেন তার থেকে সরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে, এমন কোনও রায় নেই।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনা চুরি প্রয়াঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভল্টের সোনা চুরি এই সরকারের অত্যন্ত একটি প্রকট দৃষ্টান্ত। এর আগে টাকা চুরি হয়েছে। আগের গভর্নর আতিউর রহমান নিজে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানেও দায় সরকারের এবং অবিলম্বে উচিত এই গভর্নরের পদত্যাগ করা।