মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চান এরশাদ

মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে আরেকবার ক্ষমতায় দেখার ইচ্ছার কথা বলেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নেতাকর্মীদের কাছে তিনি বলেন, ‘পার্টিকে ক্ষমতায় দেখা আমার একমাত্র শেষ ইচ্ছা। তোমরা নেতাকর্মীরা আমার মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় এনে দিবা। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা।’

শনিবার (৮ সে‌প্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন। এছাড়াও ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এসময় এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ, আর পেছনে ফেরার সময় নেই।’

জাতীয় নির্বাচনে তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা উল্লেখ করে এরশাদ আরও বলেন, ‘নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি জেলা, থানা ও ইউনিয়নে অতিদ্রুত সফল কমিটি ঘোষণা করতে হবে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’

তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে যৌথ সভার সমাপনী বক্তব্যে এরশাদ বলেন, ‘তোমাদের (তৃণমূল) কাছে আমার একটাই চাওয়া- পার্টিকে ক্ষমতায় নাও। নিজেদের মধ্যে ঐক্য জোরালো করে মানুষের কাছে ছুটে যাও। আমাদের শাসন আমলের কথা সবার কাছে পৌঁছে দাও।’

সভায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের সমালোচনা করেছেন কয়েকটি জেলার নেতারা। তারা বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।

সভায় খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের পর দল থেকে মন্ত্রী-এমপির সংখ্যা বাড়াতে হবে। তা নাহলে দলের মধ্যে অসঙ্গতি দেখা দেবে। দলকে চাঙ্গা রাখলে হলে দলের মধ্যে ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাহলে আগামীতে জাতীয় পার্টি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারবে।’  

সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ই আর চৌধুরী বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে হলে নিজেদের মধ্যে ঐক্য বাড়াতে হবে।’

নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে তিনশ’ আসনে লড়াই করতে হবে৷ দলের মধ্যে ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাহলে আমরা এককভাবে আবার ক্ষমতায় আসতে পারবো৷’

এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রমুখ।