জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দেবে: শেখ হাসিনা

গণভবনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)সুশীল সমাজের প্রতি উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে, শস্য উৎপাদনে আমরা এগিয়ে গেছি। কিন্তু এসব ভালো কাজ তাদের চোখে পড়ে না।’ তিনি বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই মানুষ আবার নৌকায় ভোট দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ছয় মাস পরপর সার্ভে রিপোর্ট করছি। আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। দুই-একজন বাদে অধিকাংশ এমপিদের অবস্থা ভালো। টানা দুই বার ক্ষমতায় থাকা ও একইসঙ্গে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা সচরাচর হয় না। কিন্তু আমরা পেরেছি। কারণ, জাতির জনক আমাদের সেই আদর্শ শিখিয়েছেন। দিনরাত আমি মানুষের জন্যই কাজ করছি।’ শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ‘জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি’র সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এসব উন্নয়ন কারও চোখে পড়ে না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি মিথ্যাচারে চ্যাম্পিয়ন। তাদের দলের মহাসচিবকে নাকি জাতিসংঘের মহাসচিব আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এমন অপপ্রচার করলেন দেশের ভেতর। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখলাম, জাতিসংঘের মহাসচিব ওই সময় ছিলেন ঘানায় কফি আনানের অন্ত্যেষ্টেক্রিয়ার অনুষ্ঠানে।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে আমাদের বলা হলো, মহাসচিব তাদের আমন্ত্রণ জানাননি বরং তারাই দেখা করতে চেয়েছেন। এমন নাটক করার দরকার কী, মিথ্যাচার করার দরকার কী? এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। এমন মিথ্যাচার, ধোঁকাবাজি, ভাঁওতাবাজিতে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন। এর আগেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সরকার গঠন করেন তখন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর টেলিফোন আলাপ নিয়ে তারা এমন মিথ্যাচার করেছিল। কেউ অপকর্ম করলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করলে বরদাশত করা হবে না।’