জাবিতে ভর্তি বৈষম্য দূর করার দাবি ইশা ছাত্র আন্দোলনের

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বৈষম্য দূর করার দাবি  জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী এ  সংগঠন মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল এম হাছিবুল ইসলাম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিক অনুষদে ভর্তির ক্ষেত্রে ৩৩৭টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসন মাদ্রসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে, যার মধ্যে আবার মাত্র ২টি আসন ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। এটি স্পষ্টই নারীদের উচ্চশিক্ষার অন্তরায়। শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট করার পরে আদালত জাবিকে বৈষম্য বিলোপের একটি নির্দেশ দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে নোটিশটি আজও কার্যকর করেনি যা আদালত অবমাননার শামিল। সংবিধানের ঊর্ধ্বে উঠে ভিন্ন কোনও আইন ও বৈষম্য সৃষ্টি করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই। অনতিবিলম্বে ভর্তি বৈষম্য বাতিল করতে হবে।
মানববন্ধনে  ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। এই আচরণ হিংসাত্মক, সাম্প্রদায়িক ও অসংবিধানিক। দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় মেধা ও যোগ্যতার প্রশ্নে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক, পশ্চাৎপদতা ও জুলুমের শিকার হচ্ছেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ জিয়াউল হক জিয়া, প্রকাশনা সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফ, কলেজ সম্পাদক জি এম বায়েজীদ, স্কুল সম্পাদক এম এম শোয়াইব, কওমি মাদ্রাসা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।