তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—মনোনয়ন ফরম সহজীকরণ, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব ও অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধকরণ, সহিংসতা ও সংঘাত এড়ানো, গাড়ি-মোটরসাইকেলের মহড়া সীমিতকরণ ও নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের একক ও অভিন্ন পোস্টার ছাপানোর ব্যবস্থা করা।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করেছে। যদ্দুর জেনেছি আজ (বুধবার) রাজনৈতিক সংলাপ শেষ হচ্ছে। আর কোনও সংলাপের অজুহাতে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করি না।’
ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে হাওলাদার বলেন, ‘ভোটাররা এখনও ইভিএম ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। ভোটারদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সময়ের প্রয়োজন। আমরা কমিশনকে বলেছি—আপনারা স্বাধীন ও সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করুন।’ নির্বাচন কমিশন তাদের (জাপার) বেশ কিছু দাবির সঙ্গে সম্মত হয়েছে বলে রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেন।
এর আগে বুধবার সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকাল সোয়া ১১টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় দেড়ঘণ্টা পর শেষ হয়।