ব্রিফিংয়ের আগে বৈঠকে কী আলোচনা করলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

বেইলি রোডে নিজের বাসভবনে ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন (ছবি– নাসিরুল ইসলাম)

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ শেষে দুপুর ৩টার দিকে বেইলি রোডের নিজ বাড়িতে আসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মুনসুরসহ অন্য নেতারা আসেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ শেষে বিকাল ৪টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলন করে। এর আগে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

একঘণ্টার ওই বৈঠক প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে নেতারা সংলাপ নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এর মধ্যে সংলাপের সাফল্য হিসেবে দু’টি বিষয়কে চিহ্নিত করেন তারা। আর তা হলো– প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, নির্বাচনের আগপর্যন্ত আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নামে কোনও মামলা হবে না এবং নেতাকর্মীদের নামে থাকা রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।  দ্বিতীয়ত, সংলাপের পরে সারাদেশে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।  এ ছাড়া, বৈঠকে সংলাপ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কী বলা হবে তা ঠিক করেন নেতারা।

বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানান, কামাল হোসেনের বাসায় প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল বৃহস্পতিবারের (৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলেন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনের ভাষণের বিষয়টি। সংবাদ সম্মেলনে সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন তা পর্যবেক্ষণ করবেন নেতারা। এ ছাড়া, আগামীকাল নির্বাচনি তফসিল নিয়ে ভাষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।  তাও পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে ইতিবাচক কিছু না পাওয়া গেলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হবে বলে একমত হয়েছেন নেতারা।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা আশা করি, আরও সংলাপ হবে। সংলাপের মাধ্যমে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে সরকার। তবে সরকার যদি আমাদের দাবিগুলো না মেনে নেয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বৈঠক করে করণীয় ঠিক করবে।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘৭ দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে। রাজশাহীর পরে খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করা হবে। এ ছাড়া, ঐক্যফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠকে আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বলেন, ‘আমরা কামাল হোসেনের বাসায় কোনও বৈঠক করি নাই। কামাল হোসেন সংলাপ থেকে এসে রেস্ট নিয়েছেন শুধু। এটাকে বৈঠক বলা যাবে না। ওই সময় নেতারা শুধু পারস্পরিক আলোচনা করেছে।’