গত ১১ নভেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন সুজন। এর আগে গারো ও চাকমা সম্প্রদায় থেকে সংসদ সদস্য হলেও হাজং সম্প্রদায়ের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র কেনেন। সুজন নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর, কলমাকান্দা) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান।
সুজন হাজং বলেন, ‘হাজংরা এই উপমহাদেশের সবচেয়ে লড়াকু জাতি, যারা টংক আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। আমি এই প্রান্তিক সংগ্রামী জনগোষ্ঠীর প্রথম সাংসদ হতে চাই। আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের সব মানুষের রাজনীতি করার সুযোগ রয়েছে। তাই আমিও স্বপ্ন দেখি মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে।’
রাজনীতির পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা করেন সুজন। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনেও পরিচিত মুখ তিনি। কবিতা চর্চার পাশপাশি বেশকিছু গান লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তার লেখা একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ প্রজন্মের চার শিল্পী— কিশোর দাশ, পুতুল, পুলক ও লিজা। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকে শেখ রাসেলকে নিয়ে করেছেন ছয়টি গান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লিখেছেন আরও ৮টি গান। এসব গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন সার্কভুক্ত ছয় দেশের আটজন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী।
সুজন হাজং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত।