বাবা জানেন না ছেলে প্রার্থী!

ঝিনাইদহ-৩ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইসমাইল হোসেন

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএএফ) থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইসমাইল হোসেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা আপিলে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ইসমাইল। ছেলে একটি নিবন্ধিত দল থেকে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত হলেও সে খবর জানেন না তার বাবা।

দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে, হলফনামা তৈরি, মনোনয়নপত্র দাখিল, এরপর আপিল আবেদন করে শুনানি করা, সব কাজ একাই করছেন ইসমাইল হোসেন। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হতে পারেন কিনা এই নিয়ে সংশয় থাকায় পরিবারের লোকজনকে মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এসব কথা জানান ইসমাইল হোসেন। তার আপিল আবেদন মঞ্জুর করার পর বাংলা ট্রিবিউন প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আপিল করার জন্য আমি কোনও উকিল ধরিনি। আমি নিজেই সব করেছি। বিষয়টি এমনকি আমার বাবাও জানেন না।’

কেন পরিবারকে জানাননি জানতে চাইলে তার ভাষ্য, ‘শেষ পর্যন্ত টিকি কিনা, সেজন্য জানাইনি। কেউ কেউ জানে। বাকিরা এখন জেনে যাবে।’

তার বয়স ২৭ হওয়ায় সবচেয়ে কম বয়সী পুরুষ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে বিএনএফ মনোনীত এই প্রার্থী।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘জনগণের সেবা করতে চাই। তরুণ হিসেবে তরুণদের নিয়ে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে চাই। এ জন্যই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’

তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণ ছিল ক্রেডিট কার্ড বকেয়া। ছয় মাস টাকা দিতে পারবেন না জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। এই গ্রাউন্ডে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে ২৪৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ৫৪৩ জন নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করেছিলেন। টানা তিন দিন শুনানি শেষে এ তথ্য জানা গেছে।