তিনি বলেন, ‘বিএনপি হলো বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বিদেশি প্রভুদের কাছে নালিশ বন্ধ করে তারা ভুলের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাক। ভুল রাজনীতিতে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে এ দেশের রাজনীতিতে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য আহবান করছি।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি যদি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকে তবে সংসদ বর্জন করে নয়, সংসদে যোগদান করে গঠনমূলক সমালোচনা করে দেশ এবং জাতির সেবায় নিয়োজিত হন। কারো যদি স্বদিচ্ছা থাকে তবে সংখ্যা বড় নয়, গঠনমূলক বক্তব্যটাই হচ্ছে জাতির অনুপ্রেরণা।’
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়ে দেশ স্বাধীন পেয়েছিল। এবার ২০১৮ সালে সারা জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে একটি দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ অত্যন্ত সাহসী এবং মেধাবী নেতা ছিলেন। কিন্তু খুব প্রচারবিমুখ ব্যক্তি ছিলেন। খুব সাধারণ ভাবে তিনি চলাফেরা করতেন, দেমাগী লোক ছিলেন না। ওয়ান ইলেভেনের সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছিল, সেই সংকট থেকে দেশকে উত্তরণের জন্য তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যার কারণে পুরস্কার হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে বরণ করে নিয়েছিলেন।’
এবারের রাজাকারমুক্ত সংসদ দেখে তার আত্মা খুশি হয়েছে নিশ্চয়। তিনি বেঁচে থাকলেও খুশি হতেন।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু দুস্থকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক নেতা অভি চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।