‘খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের মতো আচরণ করছে সরকার’

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যুতে সরকার  মুক্তিপণ আদায়ের মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘নানা কৌশলে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্বিত করা হচ্ছে। সরকার তার সঙ্গে মুক্তিপণ আদায়ের মতো আচরণ করছে।’ 

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘কারাগারে খালেদা জিয়ার বাস করার জায়গাটির কোনও পরিবর্তন হয়নি। অস্বাস্থ্যকর, স্যাঁতসেঁতে ও ধুলাবালিতে আকীর্ণ কক্ষটিতে তাকে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। বারবার এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তারা কান দিচ্ছে না। তার সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা অমানবিক।’

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বিবেচনা না করে তাকে ঘনঘন আদালতে হাজির হতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আদালতে অপরিসর এবং বসার অনুপযোগী একটি পরিবেশে তাকে নিয়ে আসা হয় বারবার। তিনি এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। আমি অবিলম্বে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ১৩ কারণে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। বিএনপির সাতটি ব্যর্থতায় পরাজয় হয়েছে। ভোটের আগের দিন রাতে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এখন তিনি জ্ঞানতাপস সেজে সফলতা-বিফলতার পরিসংখ্যান দিচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ভোট ডাকাতিতে জড়িত নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ দিতে ভুলেননি-আসলে এটিই হচ্ছে তার প্রকৃত ধন্যবাদ।’

বিএনপি ভেঙে যাবে- ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন,  ‘আওয়ামী লীগ তো ভেতর থেকে ভেঙে চুপসে গেছে। সেখানে নানাপন্থী এবং সিনিয়র-জুনিয়র নানা ধারা আছে। যে কারণে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি। পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে। বিএনপির মধ্যে এমন কোনও বিভেদ নেই।’