রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিয়ত বিএনপিকে উপদেশ দিচ্ছেন। সভা-সমিতি, মঞ্চ, গণমাধ্যম ও ব্রিফিংয়ে বিএনপির কী করা উচিত, বিএনপির পরিণতি কী হবে, বিএনপি নির্বাচন ভীতিতে ভুগছে, বিএনপি সংসদে যোগ দেবে ইত্যাদি নানা কথার খৈ ফুটাচ্ছেন প্রতিদিন। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব শালীনতা, ভব্যতার গুণমান বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত উপদেশের ভাঙা টেপরেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন।’
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘মিডনাইট ইলেকশন’-এর সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের সাহেব এখন স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। সুতরাং খামোখা আওয়ামী লীগে থেকে তার লাভ কী, বরং ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপির দরজা খোলা আছে। এমনিতেই অনাচারের পাহাড়সম স্তূপে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত, কখন কী হয় আতঙ্কে তাদের সারা দিন কাটে। বিভিন্ন এলাকায় তারা তলে তলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছেন।’
রিজভী দাবি করেন, নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আসলেই উদ্বিগ্ন। ক্ষমতার বৃক্ষ উপড়ে যাওয়ার পর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সেজন্য স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টার আসনে বসতে চাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ অন্য নেতারা।
রিজভী জানান, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সারাদেশে বিএনপির বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় শুধু ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া, ৯ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী (ঢাকা মহানগরী বাদে) একই দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।