শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জিয়া পরিষদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়াসহ দলটির কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োিজত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন বিএনপি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে? আমি বলি বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশ্ন আসছে না। এখানে প্রশ্ন হলো যারা ক্ষমতা দখল করেছে, সেই আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সেটি তাদের চিন্তা করতে হবে। তারা আবার এই দেশের মানুষের কাছে কীভাবে ফিরে যাবে সে চিন্তা করতে হবে। তারা অন্যায়ভাবে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে। এর উত্তর দেশের মানুষকে দিতে হবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন কীভাবে ফিরিয়ে দেবে তাদেরকে তা প্রমাণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশ্ন আসছে না। বিএনপি যে পথে চলছে, যে পথ দিয়ে বিএনপি চলা শুরু করেছে সেই পথেই থাকবে, সেই পথেই চলবো আমরা। বিএনপির পথ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং জীবনের নিরাপত্তার পথ। এই পথ থেকে বিএনপি বিচ্যুত হয়নি, সামনেও হবে না। যারা বিচ্যুত হয়েছে তারা কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এটাই হচ্ছে আজকের আলোচ্য বিষয়।’
আন্দোলন কখনো বলে কয়ে হয় না উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। সেই আন্দোলন কী হবে, কর্মসূচি কী হবে, তা সময়ই বলে দিবে। অনেকে বলেন, রোজার পরে, ঈদের পরে আন্দোলন হবে! আন্দোলন কখনো বলে কয়ে হয় না। পানি যেমন তার গতি বেছে নেয়, আন্দোলনও তার গতি বেছে নেয়। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে আন্দোলন সৃষ্টি হবে সে আন্দোলন বলে কয়ে হবে না। আন্দোলন হবে, দেশ মুক্ত হবে, খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন।’
জিয়া পরিষদের সভাপতি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।