অগ্নিদুর্ঘটনা থামাতে সবাইকে নিয়ে সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান ড. কামালের

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী মিলনায়তনে বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন

সম্প্রতি আলোচিত দুটি অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক প্রাণহানি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড যাতে আর না ঘটে সেজন্য সবাইকে নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এজন্য বিনা ফি'তে সরকারকে যে কোনও সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন এই প্রবীণ আইনজীবী।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত ‘অগ্নি-নিরাপত্তা ও  আইনের প্রয়োগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সমাজের প্রত্যেক মানুষেরই নিজ নিজ জায়গা থেকে কিছু না কিছু করার আছে। তবে যারা সরকারে আছেন তাদের দায়িত্ব বেশি। সমস্যা হবে, তবে সেই সমস্যার সমাধানও আছে।  সমাধানের সেই পথটা যেন আমরা সবাই মিলে খুঁজি, কোনও বিতর্ক তৈরির চেষ্টা না করে। কেন, কার অবহেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সরকার যদি সবাইকে ডাকে, আমাকেও ডাকে তাহলে বিনা ফিতে যে কোনও সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি।’

সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী আরও বলেন, এদেশে আগুনে পুড়ে আর একজন নাগরিকও যেন মারা না যান সেই উপলব্ধি যেন আমাদের সবার মধ্যে তৈরি হয় এবং আমাদের যার যে ভূমিকা তা যেন আমরা পালন করি।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকৌশলী হাসমত্তুজ্জামান। এ সময় ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, গণফোরামের নির্বাহী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসীন রশীদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় অবস্থিত ওয়াহেদ ম্যানশনের কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে পুড়ে ৬৭ জন নিহত হন। এর এক মাস পরেই রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক সড়কে অবস্থিত এফ আর (ফারুক-রূপায়ন) টাওয়ারের অষ্টম তলায় আগুন লেগে আরও ২৬ জন নিহত হন। প্রথম ঘটনায় বাসভবনের ভেতরে কেমিক্যালের গুদাম রাখা এবং পরেরটিতে নকশা না মেনে ১৮তলা থেকে ২৩ তলা করা, ভবনের জরুরি নির্গমন পথ ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মাণ ও রুদ্ধ করে রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিটিগুলো।