তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি: গয়েশ্বর

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের মধ্যদিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি।

শুক্রবার (৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জাতীয়তাবাদী নবীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের সময়টা এখন সবচেয়ে খারাপ। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যদি জনগণের ভোটে জয়লাভ করতেন, তাহলে তার মুখ থেকে নাবালকসূচক বক্তব্য আসতো না। আর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যখন শেখ হাসিনা বলেন— আমি তখন খুব প্রাউড ফিল (গর্ববোধ) করি। কেন? কারণ, তারেক রহমান রাজনীতিতে একটা ফ্যাক্টর। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত। তিনি দেশপ্রেমিক জনগণের নেতা। এ কারণে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) লন্ডন গেছেন চোখের চিকিৎসা করাতে, নাকি মনের চিকিৎসা করতে, আমি জানি না।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) এই সফরের মধ্যদিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। আমরা যদি ইউনাইটেড থাকি, আমরা যখন সাহস করে মাঠে নামার জন্য ডাক দেবো, তখন তারা (জনগণ) নেমে যাবেন। দেশবাসী আমাদের সঙ্গে নামার জন্য অপেক্ষা করছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, আমরা কর্মসূচি দিলে তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে। কারণ, বিএনপি জনগণের দল।’

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় খালেদা জিয়া নির্দোষ। সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালতের রায় অনুযায়ী  জনসম্মুখে এবং বিশ্বের কাছে হেয় করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।’

খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি নেতা আরও  বলেন, ‘১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তিনদিনের মধ্যে জামিনে পেলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার ১৪ মাস লাগবে কেন? বিচারপতিদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা আছে? তাহলে, তারা কেন এরকম আচরণ করছেন? তারা এরকম করছেন সরকারের নির্দেশে। সরকারের নির্দেশ না মানলে তাদের চাকরি থাকবে না।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘তারেক রহমানকে একটি মামলায় খালাস দিয়েছিলেন যে বিচারক, তিনি দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আপাতত দেশে আসতে পারবেন এরকম কোনও সম্ভাবনাও নেই।’

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।