প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে ডাকুন: বিচারপতিদের উদ্দেশে গয়েশ্বর

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ফাইল ফটো)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে ডাকার জন্য বিচার বিভাগ ও বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সোমবার (৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গিয়ে বলেছেন, তারেক রহমানকে বাড়াবাড়ি করতে মানা করবে। না হলে ওর মাকে আজীবনের জন্য জেলে রাখবো। তার মানে, আইন ও আদালতের কারণে নয়, শেখ হাসিনার ইচ্ছায় খালেদা জিয়াকে সারাজীবন কারাগারে থাকতে হবে। এখন আমি যদি বলি, আদালতের হাত-পা বাঁধা এবং সরকারের কথার বাইরে আদালত যেতে পারে না তাহলে কাল আমাকে ডেকে বলবে, আপনি আদালত অবমাননা করেছেন। তবে আমি বিচারপতিদের প্রতি নিবেদন করবো, একজন কারাবন্দিকে আজীবন কারাগারে থাকতে হবে, এমন হুমকি যখন প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে দেন তাকে কি একটু আদালতে এনে জিজ্ঞাস করতে পারেন, এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার আপনি কে?’
আদালতকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন? পারবেন না বরং আগামীকাল আমাকে ডাকতে পারেন। ডেকে বলবেন, আপনি আবার প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এগুলো বলতে গেলেন কেন? এই কারণে আদালতের কাছে অনুরোধ করবো, উনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ডাকেন। এই ডাকাটা মনে হয় জাতির কাছে জরুরি। ডেকে জিজ্ঞাসা করুন, আমার কাজটা যদি আপনি করেন তাহলে এই চেয়ারে আমার থাকার দরকার কী?’
গয়েশ্বর বলেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী। কোনও কিছুর ব্যবস্থা না করে দেশের বাইরে যাবেন- এ কথাটা বেমানান হয়ে যায় না? আর সেখানে উনার বোনের বাড়ি এবং ভাগ্নির বাড়ি আছে, যদি হোটেল বুকিং না দিয়ে থাকেন তাহলে তো উনি সরাসরি ওখানে উঠবেন। কিন্তু গাড়ি নিয়ে এই হোটেল ওই হোটেল ঘোরা কোনও রকমই মানানসই না। কী কারণে এতো তাড়াহুড়া করে চলে গেলেন? আর কী কারণে বললেন, তারেক রহমান বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়া আজীবন জেলে থাকবেন।’
বিএনপির এমপিদের শপথের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে ভুল ও শুদ্ধের বিষয়ে কথা বলার কারণ নাই। সময়ই বলে দেবে, এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি ছিল না। দেখতে হবে আমাদের এমপিরা সংসদে কতটুকু এক্সারসাইজ করতে পারে এবং কতটুকু তাদের সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য সরকারপক্ষ কতটুকু সহ্য করতে পারে।’ নেতাকর্মীরদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গেড়ে তোলার আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কৃষক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।