মোহাম্মদ ইসহাক ও ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকার ও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে কৃষকরা বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ধানের যে মূল্য তাতে বিঘাপ্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে কৃষকদের। অথচ বাজারে চালের দাম চড়া। কৃষকদের লোকসান দেওয়ার সংগতি নেই। এ অবস্থায় হতাশ ও বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ধান না কেটে জমিতেই ধান পুড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।’
খেলাফত মজলিসের দুই নেতা আরও বলেন, ‘দেশের কৃষকসমাজ আজ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, কৃষকরা তার অর্ধেকও পাচ্ছেন না। কৃষকদের এ দুরাবস্থায় সরকারের কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেই, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করেন। তারা যদি ফসলের উৎপাদন খরচও না পান এবং তাদেরকে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়, তবে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। এটা জাতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই কুষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে সরকার নির্ধারিত মূল্য মনপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় করার পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান খেলাফত মজলিসের আমির ও মহাসচিব।