অসুস্থ রিজভীকে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল


হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১২ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে তিনি অসুস্থ রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

গত ১০ জুন থেকে পেটে ব্যথা ও বমি হচ্ছে রিজভীর। দলীয় চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ রিজভীকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির অন্য নেতারা রিজভীকে দেখতে কার্যালয়ে যান। সকালে রিজভীকে দেখতে কার্যালয়ে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তখন থেকে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয়তলায় একটি কক্ষে থাকছেন রিজভী। গত এক বছর ধরে রিজভীর সঙ্গে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকেন মৎস্যজীবী দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার।

তিনি বলেন, ‘গত ৩ দিন ধরে রিজভী ভাই খুব অসুস্থ। তিনি কিছু খেতে পারছেন না। এখনও তাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।’

এদিকে গতকাল ১১ জুন নির্দিষ্ট বয়সসীমা বাতিলের দাবিতে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা দেয় ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ওই সময় তারা ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ সময় রিজভীকে কার্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবি জানান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

তুষার বলেন, কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কারণে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই থাকতে হয় রিজভীকে। ভবনে তালা দেওয়ায় চিকিৎসকরাও ভেতরে যেতে পারেননি। এ কারণে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এর আগে গত ৩ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রুহুল কবির রিজভী জানান, ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিল করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেওয়া হবে। ২০১০ সালে যারা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারাই ছাত্রদলের নেতা হতে পারবেন।

ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রিজভী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। ছাত্রদলের নেতা হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমার কথা বলেছেন। অথচ রিজভী একাই দুটি পদ দখল করে কার্যালয়কে বাসাবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। এখানে বসে বিএনপিকে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন। তাকে কার্যালয় ছেড়ে চলে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি দফতরের দায়িত্বও পালন করছেন।