কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু একটি পক্ষ অপ্রীতিকর ঘটনা চাচ্ছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে। আগামীকালও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচিতে আসবো।’
ছাত্রদলের ১২ নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্না বলেন, ‘দল যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে দলের বাইরে আমাদের কিছু বলার নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, বয়সসীমা উন্মুক্ত এবং তফসিল বাতিল করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমরা আশা করি তারেক রহমান আমাদের বিষয়গুলোকে বিবেচনা করবেন।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বয়সসীমা না করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ও তাদের অনুসারীরা। বিক্ষোভ চলাকালে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন কার্যালয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যান মিলন।
এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ‘সরকারের দালাল’ বলে স্লোগান দিয়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। তারা বলেন, রিজভীকে দল থেকে বের করে দিলে বিএনপিতে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
এদিকে বহিষ্কৃত ছাত্রদলের নেতাদের বিক্ষোভ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রদলের একটি অংশ ১৫ জুলাই ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের একাংশ আন্দোলন করে আসছেন। এরই মধ্যে গত ২২ জুন রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১২ ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করা হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-
রিজভীকে নাজেহালের কারণে ছাত্রদলের ১২ নেতা বহিষ্কার, প্রতিবাদে আজও বিক্ষোভ
ছাত্রদলের কাউন্সিল ১৫ জুলাই